খবর লাইভ : বেআইনি কাজ নিয়ে বারবার শিরোনামে উঠে এসেছে হুগলির রাধানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের নাম। কখনো ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে এই পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে তো কখনো আবার গীতাঞ্জলি বা ইন্দিরা আবাস যোজনার মতো প্রকল্পে ভয়ঙ্কর দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। পিছিয়ে নেই শৌচাগার নির্মাণে দুর্নীতি বা রাস্তাঘাট ও ড্রেন তৈরি করার কাজেও দুর্নীতিও। অনেকেই এই পঞ্চায়েতকে খাপ পঞ্চায়েত বলে উল্লেখ করেছেন। কারণ পঞ্চায়েতের ভিতর সরকারি অফিসার ছাড়াও কিছু বহিরাগতর সৌজন্যে এটাকে আড্ডার ঠেক বানিয়েছে। আর ওই সমস্ত বহিরাগতদের পঞ্চায়েতে উপস্থিতির কারণেই এই পঞ্চায়েতে সাধারণ মানুষ বিভিন্ন রকমের পরিষেবা থেকে ব্যাহত হচ্ছেন বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, লোকের ব্যক্তিগত জায়গা দখলের কাজেও এই পঞ্চায়েত একাধিক বেআইনি কাজ করে চলেছে। তারপরেও কিভাবে পঞ্চায়েতের প্রধান বা বাকিদের পদ অক্ষুন্ন রয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার সাধারণ মানুষ।
আরও পড়ুনঃ ভোটের সময় রাজ্যপালকে কোচবিহার যেতে নিষেধ কমিশনের!
সম্প্রতি রাধানগর পঞ্চায়েতের রসপুরে একের পর এক সরকারি জায়গা দখল করে বেআইনি নির্মাণ হলেও এই পঞ্চায়েত বা প্রশাসন কেন নীরব তা নিয়ে বেশ ক্ষুব্ধ এলাকার লোকজন। রসপুরের এক বাসিন্দা বলেন, ‘শুধু সরকারি জায়গা দখলই নয়, রসপুর মোড়ে একাধিক ডোবা বুঝিয়ে বেআইনি নির্মাণ হচ্ছে। এতে জল নিকাশি ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়বে। পঞ্চায়েত বা প্রশাসনকে জানালেও তারা কোনরকম ব্যবস্থা নেয়নি। এলাকার লোকজন রাধানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে বেশ ক্ষুব্ধ। তৃণমূলের উচ্চ নেতৃত্বের কাছে আমাদের আবেদন তাঁরা তদন্ত করে যেন উপযুক্ত ব্যবস্থা নেন।’
রাধানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বা জাঙ্গিপাড়া প্রশাসনের কোনও আধিকারিকের অবশ্য প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।