খবর লাইভ : দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি নিয়ে নিজেদের অবস্থানেই অনড় আমেরিকা। ফের স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ এবং সময়মতো আইনি শুনানির পক্ষে সওয়াল করে মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, এই নিয়ে কারও কোনও আপত্তি থাকা উচিত নয়। আমেরিকার বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্রের এমন মন্তব্যের কিছু আগে ভারতে মার্কিন প্রতিনিধিকে ডেকে পাঠিয়ে চরম প্রতিবাদও জানায় নয়াদিল্লি। কেজরির গ্রেফতারি নিয়ে আমেরিকা যে অবস্থান নিয়েছিল, তারই প্রতিবাদে ডেকে পাঠানো হয় মার্কিন প্রতিনিধিকে। কিন্তু আমেরিকা যে তাদের অবস্থানে অনড়, সে কথা আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন ম্যাথু মিলার। তবে শুধু মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি নয় পাশাপাশি কংগ্রেসের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ হওয়া নিয়েও সরব বাইডেন প্রশাসন।
বুধবারই অরবিন্দের গ্রেফতারি নিয়ে সরব হওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলারকে তলব করে দিল্লি। এবার সেই তলব নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, আমেরিকা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের স্বচ্ছ এবং অবাধ আইনি প্রক্রিয়ার দাবি জানায়। এরপরই কংগ্রেসের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ হওয়া নিয়ে সরব হন আমেরিকার বিদেশ দফতরের মুখপাত্র। তিনি বলেন, লোকসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের বেশ কিছু ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছে আয়কর দফতর। এর ফলে তাদের প্রচারে অসুবিধা হচ্ছে। বাইডেন প্রশাসন এই ঘটনার দিকে সবসময় নজর রাখছে। তবে কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি নিয়ে প্রথম সরব হয়েছিল জার্মানি।
আবগারি মামলায় গত ২১ মার্চ অরবিন্দকে গ্রেফতার করে ইডি। আর তাঁর গ্রেফতারির পরই দিল্লিজুড়ে শুরু হয়েছে আম আদমি পার্টির বিক্ষোভ। গ্রেফতারির পর থেকেই অরবিন্দের পাশে দাঁড়িয়েছে আপ নেতারা। অন্যদিকে ইন্ডিয়া জোটের সদস্যরা তার গ্রেফতারি নিয়ে সরব হয়েছে। তাঁরা সাফ জানিয়েছেন, বিরোধীদের বিরুদ্ধে ইডিকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করছে বিজেপি। তবে শেষ পর্যন্ত ‘সত্যের জয় হবে।